শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদককে বহিষ্কার করলো তৃণমূল

13th December 2020 4:11 pm কলকাতা
শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদককে বহিষ্কার করলো তৃণমূল


নিজস্ব সংবাদদাতা ( কলকাতা ) :  দল বিরোধী কাজের জন্য এবার শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী কনিষ্ক পণ্ডাকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা তৃণমূল সম্পাদক ছিলেন। সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি রাজ্য সরকার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়েও বেসুর গেয়েছিলেন কনিষ্ক। তাই রবিবার তাঁকে দল থেকেই বহিষ্কার করে কড়া বার্তা দিল রাজ্যের শাসকদল।উল্লেখ্য, ৪ ডিসেম্বর তৃণমূলের জেলা সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক চলাকালীন পূর্ব মেদিনীপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শিশির অধিকারীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে পূর্ব মেদিনীপুরে অনেকে দল বিরোধী মন্তব্য করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তার পরও রাজ্য সরকারের ‘‌স্বাস্থ্যসাথী’‌ প্রকল্প, ‘‌দুয়ারে সরকার’‌ কর্মসূচি নিয়ে প্রকাশ্যে কটাক্ষ করেছেন কনিষ্ক। এমনকী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও বিরূপ মন্তব্য শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে।সম্প্রতি নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কনিষ্ক। তিনি বলেছিলেন, ‘‌আমাদের কাছে খবর আছে, শুভেন্দু অধিকারীকে খুনের চক্রান্ত চলছে। জরুরি ভিত্তিতে তাঁর নিরাপত্তার প্রয়োজন।’‌ শুভেন্দুর নিরাপত্তা চেয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে শীঘ্রই শুভেন্দু অনুগামীর একাংশ যাবেন বলে জানিয়েছিলেন কনিষ্ক।এর আগে কনিষ্ক পণ্ডার মুখে শোনা গিয়েছিল এই কথা— ‘‌তাড়ালে আমরা চলে যাব। আমরা এখানে থাকার জন্য আকাঙ্ক্ষিত নই বা শুভেন্দু অধিকারী কোনওভাবে পদের লোভী নন।’‌ এবার কনিষ্ক পণ্ডাকে বহিষ্কার করে শুভেন্দু অধিকারী–সহ দলবিরোধী অন্য সকলকে বার্তা দিল তৃণমূল, এমনই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।





Others News

পর্ণশ্রীতে মা ও ছেলের নৃশংস খুনের কিনারা পুলিশের

পর্ণশ্রীতে মা ও ছেলের নৃশংস খুনের কিনারা পুলিশের


নিজস্ব সংবাদদাতা ( কলকাতা ) :  পর্ণশ্রীতে মা-ছেলেকে নৃশংভাবে খুনের কিনারা। ধৃতদের একজন সন্দীপ দাস(৩২) ও অন্যজন সঞ্জয় দাস(৪৪)। বাড়ি মহেশতলা থানার শ্যামপুরের ঘোষপাড়া তে। জেরায় তারা অপরাধের কথা কবুল করেছে। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন জয়েন্ট সিপি ক্রাইম।

গ্রেফতার মৃতার দুই মাসতুতো ভাই। ধৃতদের বাড়ি মহেশতলায়। জেরায় অপরাধ কবুল করেছে ধৃতরা। ধৃতদের অনেক টাকা ধার হয়ে গিয়েছিল। মৃতের পরিবারের কাছে অনেক টাকা, গয়না ঘরে ছিল এমনই ধারণা ছিল ধৃতদের। পরিকল্পনা করেই বাড়িতে গিয়েছিল ধৃতরা। ধৃতরা জানত, ওই সময়ে তাদের দিদি সুস্মিতা মন্ডল একা থাকত। মাকে খুনের সময় ছেলে তমজিৎ মন্ডল দেখে ফেলে, সেইজন্যই ছেলেকে খুন। জানালেন জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলিধর শর্মা।
ধৃত সন্দীপ দাস ও অন্যজন সঞ্জয় দাস কে আগামীকাল আলিপুর আদালতে তোলা হবে।